কক্সবাজার, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

ছুটি শেষ: কক্সবাজারে কমছে পর্যটক

ঈদুল আজহার ছুটি শেষে কক্সবাজার থেকে পর্যটক কমতে শুরু করেছে। শনিবার (১৬ জুলাই) থেকে অগ্রিম হোটেল কক্ষ বুকিংয়ে তেমন ব্যস্ততা নেই, হোটেল-মোটেলগুলোতে পর্যটকের অবস্থান ৫০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

রোববার (১৭ জুলাই) কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা, সীগাল, লাবণী ও কবিতা চত্বর পয়েন্টে পর্যটকের ভিড় তেমন লক্ষ্য করা যায়নি। ঈদের দু-এক দিন পর পয়েন্টগুলোতে যে ব্যস্ততা ছিল, তা কমে গেছে। এবং দিন দিন আরও কমে যাবে বলে ধারণা করছেন হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা।

কক্সবাজার হোটেল-গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ রাইজিংবিডিকে বলেন, ঈদের দুই দিন পর থেকে কক্সবাজারে প্রচুর পর্যটক ছিল। এমনকি ঈদের ৭ম দিন কক্সবাজারে পর্যটকের স্রোত ছিল। সমুদ্র সৈকতে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। কিন্তু ছুটি শেষে আস্তে আস্তে পর্যটক কমতে শুরু করেছে। কর্মব্যস্ততায় পর্যটকরা ঘরমুখী হচ্ছেন।

তিনি বলেন, শনিবার (১৬ জুলাই) হোটেল-মোটেলে ৫০ শতাংশ পর্যটক ছিল। আজ রোববার (১৭ জুলাই) থেকে সেই সংখ্যা ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। ঈদের ছুটি ছাড়াও বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) থেকে শনিবার (১৬ জুলাই) পর্যন্ত সাপ্তাহিক ছুটিতে পর্যটকরা কক্সবাজার বেড়াতে আসেন। সবমিলিয়ে ভ্রমণপিপাসুরা এখন বাড়ি ফিরছেন।

বিচকর্মীদের সুপারভাইজার মো. মাহবুব আলম রাইজিংবিডিকে বলেন, শনিবারও (১৬ জুলাই) পর্যটকে টইটম্বুর ছিল সমুদ্র সৈকত। পর্যটকের ভিড়ে সৈকতে হাঁটার মতো অবস্থা ছিল না। কিন্তু আজ থেকে পর্যটক কমতে শুরু করেছে। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যটকের আনাগোনা আগের চেয়ে কম দেখা যাচ্ছে।

কুমিল্লা থেকে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শাহেদ আহমেদ বলেন, ‘ঈদুল আজহার ছুটিসহ দীর্ঘ ছুটি কাটালাম স্ত্রী-সন্তান নিয়ে। এবার ফেরার পালা। ওই দিকে অফিসও খুলেছে, তাই চলে যেতে হচ্ছে। এবার কক্সবাজারে অনেক মজা করলাম। অনেক মিস্ করবো সমুদ্র সৈকতে কাটানো মুহূর্তগুলো।’

রংপুর থেকে আসা নবদম্পতি শাকিল-তিশা বলেন, ‘গত শুক্রবার (১৫ জুলাই) এসে আজ চলে যাচ্ছি। এই দুই দিন কক্সবাজারের অনেক জায়গায় ঘুরেছি। স্পেশাল শুঁটকি ভর্তা, তাজা শাক-সবজি দিয়ে খাওয়া-দাওয়া করলাম। অনেক ভালো লেগেছে। আরও দু-একদিন থাকতে মন চাইলেও ছুটি শেষ হওয়ায় চলে যেতে হচ্ছে। তবে আবারও আসবো সমুদ্রস্নান ও বালিয়াড়িতে আনন্দে নিজেতে মাতিয়ে তুলতে।’

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ঈদ ও সাপ্তাহিক ছুটি শেষে পর্যটকরা কর্মস্থলের উদ্দেশে বাড়ি ফিরছেন। এ জন্য রোববার (১৭ জুলাই) থেকে পর্যটক কিছুটা কম। এরপরও যারা ছুটি নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে আসতে চান, তাদের পদচারণায় মুখর থাকবে সমুদ্র সৈকত এই আশা রাখি।’

তিনি বলেন, যে সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজারে আসুক না কেন, তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিটি পর্যটন স্পটে কঠোর নজরদারি রেখেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

কোনো পর্যটক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার হলে ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্স, তথ্য কেন্দ্র বা ট্যুরিস্ট পুলিশ ভবনে এসে জানালে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

পাঠকের মতামত: